ফুলবাগিচায় থাকেননা আর
থাকেন আরাম-বাগিচায়
তাঁর কাছে যেই খাস বেয়ারা
হেঁসেল ঘরের চাবি চায়
বলেন রানি ভীষণ কোপে
'চাইছি পরিবর্তনে
খেতেই হবে মোগল খানা
এমন কোনো শর্ত নেই'
তারপরে তো চাঁদ উঠেছে
আবির মাখা ফাগ রাতে,
চমকে চেয়ে দেখেন রাজা
তুর্কি নাচন ঘাগরাতে
'সৈন্যরা সব মুরগি পোষে'
বলেন যোধা, আকবরে--
'ফ্লু হয়ে কি মরব শেষে
ক্যামনে হেথায় থাকব রে?'
রানির জিভের খবরখানা
রাজার বেশি রাখবে কে? (দুষ্ট পাঠক, অন্য অর্থ করবেন না)
রোজই পাতে মুরগি-ভাতে--
থাকেন রানি ঘাড় বেঁকে।
কাজেই তখন নিদান দিলেন
হুমায়ুনের বংশধর,
'মুরগি নিয়ে আর্গু বৃথা
তার চে' বরং হংস ধর'
কাছেই ছিলেন বৈরাম খাঁ
বলেন তিনি সস্নেহে,
'ঠাণ্ডা মাথায় ভাব যোধা মা,
এত্ত অধীর হোস নে হে...
ব্যারাম হলে ওষুধ আছে
টোটকা কিছু শিখে নে
আরামবাগের রানিমা গো
ভয় পেয়ো না চিকেনে...'
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment