Tuesday, April 1, 2008

অরূপ দিও

সেদিন যখন জারবেরা আর
আরো কিসব মেমসাহেবী
রঙিন ফুলের নাম বলেছ
মনে মনে আঁতকে উঠে ইষ্টদেবের নাম নিয়েছি
ওসব আমি সাতজন্মেও দেখিনি তো
হ্যাঁগো ওসব বানিয়ে তোলা ফিতে-কুসুম
নয়তো আবার ?

দু চারখানা লঙ্কাজবা , কুন্দ-বকুল ,
এই তো আমার সাধ্য জানি -
বিলেত ফেরত তোমার ফুলের তো অনেক ,
ভয় পেয়েছি ।
এই বাগানে রূপ বেশী নেই , গন্ধ কেবল ।

কিং সলোমন , কোথায় তুমি
মূল্যায়নের মাপকাঠিটা হারাওনি তো ?
অবসাদের দিনগুলোতে ভরসা দিও
রূপকে কিছু অরূপ দিও , গন্ধ নিও ।

আমাদের সেই তাহার নামটি

রঞ্জনা , আর পাশাপাশি থাকা নেই
নদীটিও বাঁক নিয়েছে নতুন দিকে
কবিতা তো আজ গুঁড়ো গুঁড়ো কল্পনা
পাগলি মেয়েটা , তুইও আজ কত দূর

তোমার ছাদে তো দখিন হাওয়ারা আজও
ছুটোছুটি করে , ছুঁয়ে দিয়ে যায় চুল
এখানে কদম মোটেই ফোটে না জানো
বর্ষায় শুধু ঘোলা জল , পাঁক কাদা ।

তোমার সাথে তো চুক্তি ছিলনা কোনো
তবুও যখন অকারণে মনে পড়ো ,
তুর্কি তরুণ জোড়ে ও ঝালায় বাজে
রাতে আকাশে শুধু সুর আনাগোনা

ওখানে কি কোনো জনপদ-টদ আছে?
অপেক্ষা শেষ , আমারো সময় হল ,
অঞ্জনা নেই , বৈতরণী তো আছে
দর্শনটুকু দিও কোজাগরী আলো ।

স্বগত

মাঠ ভরে ছিল সন্ধের তিলফুলে
বিদ্যুৎবাহী তারে
দুটো মৃতদেহ নিজেদের ঢেকে নিলো
পশম অন্ধকারে

যুবকটি ঋজু , সরল গাছের মতো
শ্রমিক অভ্রখনির
মেয়েটি জাতিতে হাসি খুশি হিন্দোলা
অটুট আকাশমণি

কাল ভোরে হবে গুঞ্জনবেলা শুরু
আশপাশ অঞ্চলে
কথাহীন ওরা জড়াজড়ি পড়ে থাকে
অখন্ডমন্ডলে

আবার একলা রাত

আকাশপারে সেনাশিবির ছাউনি দেখেছি

মধ্যরাতের ঝড়ের ধুলো
যখন আমার শয্যা ছুঁলো
তোর মুকুটে অন্য পালক কী রং মেখেছিস !!

বিভ্রমে না মতিভ্রমে অবাক থেকেছি

ফিরতে কি আর পারব সমে
রোজ বিকেলে সন্ধ্যাগমে
নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাই বৃষ্টি এঁকেছি
আসার আগে সাদা গোলাপ সাজিয়ে রেখেছি ।