Thursday, March 6, 2008

আত্মজীবনীর খণ্ডাংশ

আমি স্বভাবে বড়ই নোলা
যদি দেখি কোনো পুকুরের জল ঘোলা
মুখেতে জপিয়া রাধে ও কেষ্ট
মাছ ধরিবারে হই সচেষ্ট
(তবে) ছিপখানি ফেলি হাই তুলি তুলি মাছ নাহি পাই যদি
আদর করিয়া নচ্ছারদিগে আমি 'শালা' সম্বোধি
পানি না ছুঁয়েই মাছ ধরা বাবা
খাটুনির কাজ, বাহবা বাহবা
কে না জানে বলো ইলিশ মত্স্য পুরাকাল হতে করে নমস্য
দুনিয়ার যত কাঙালী বাঙালী, তাহাদের ধন চুরি
(তবু) তাহার গন্ধে পরমানন্দে আমি বিব পরে ঘুরি।
ফিসফিস করে মাছের কথাই বলি
মিটমিট করে মাটনের পানে চাই
দেখি ভাণ্ডারে নাই আণ্ডা রে
কী খেলে এ প্রাণ হবে ঠাণ্ডা রে
ভাবিয়া ভাবিয়া পকেট চাপিয়া নিরামিষ হাতড়াই।
হাহাকার করে কেঁদে ওঠে জিভ তাই,
কোলে টেনে নিই টেলিফোনটাকে,
কাছাকাছি যত বন্ধুরা থাকে
ডাকিয়া তাদের খোসামোদ করি, কভু পিঠ চাপড়াই।
বলি তেনাদের, বেশ লোক তোরা, আছে মনোহর কত রেস্তরাঁ
ক্ষুন্নিবারণ করিব সেখানে, মিষ্টবচন কহি কানে কানে--
আজ তুই খাওয়া, নেক্সট মোলাকাতে আমিই মেটাবো বিল,
তোর মতো আর এমন উদার, কে আছে দরাজ দিল।
উপসংহার? আভি মত্ পুছো
পেটে ডন দেয় দু ডজন ছুঁচো
খেয়ে আসি আগে, কার্যঞ্চাগে, বাকি কথা থাক বাকি
আপাতত হাতে মেনুসংহিতা, আছি তাতে মুখ ঢাকি।

[বিঃ দ্রঃ] ১। কার্যঞ্চাগে মানে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। কৌতূহল দমন করতে না পারলে কাক্কেশ্বরকে ফোন করুন।
২। মেনুসংহিতা বা মেনুকার্ড আরবী বা উর্দুর মতো ডান দিক থেকে বাঁ দিকে পড়বেন। নয়তো অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
02 Nov 2007

No comments: