চূর্ণীর পরপারে ইতিহাস আঁকা--
লতাপাতা জটাজাল গোপন কুটির
তেজীয়ান চাষীনেতা, দূতিয়ালি নানা মাধ্যমে,
কাল রাতে ছাই হবে কোন নীলকুঠি...
মনের ওপর এত উর্বর পলি,
যেন সে অগ্নিদিন কালকেরই কথা।
যুগান্ত কেটে যায়--
সোনালী ধানের ক্ষেতে দুধ জমে ঋতুতে ঋতুতে।
আজও বুঝি রানাঘাটে সেই ছবি স্থির হয়ে আছে
কাদামাখা নদীপাড়, বুড়ো মাঝি,
মাছের চুবড়ি নিয়ে জেলে ও জেলেনী, পাটের আড়তদার
সাইকেল আরোহী, ভিড়ের গাদায় আরো কত লোক কত কিসিমের।
একতারা বেজে ওঠে
ভবনদী পার করে দাও গো পাটনী...
ওইপারে তাঁত চলে খটাখট, জরিপাড় ফুলকাটা শাড়ি
চুড়ি বেলোয়ারি, বিচিত্র মলম সব শোভিতেছে শোকেসে শোকেসে।
দেওয়ালে কোয়েল মল্লিক ঝুলে আছে প্রেমিকের সনে।
হঠাত খবর পাই মনে
এই আমি আর সেই হরিদাস পাল, উভয়ের কোনো ভেদ নাই।
উভয়েরই ছেঁড়া ছাতা, উভয়েই কল্পনাবিলাসী।
সব মিথ্যে সব ইতিহাস
ইতিহাস ধুয়ে গেছে চূর্ণীর জলে...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment