নিহিতার্থ যেইদিন বুঝে নেবে দূরত্ব ঘনালো,
তার ঠিক একদিন আগে, জানাবো তোমাকে...
আজন্ম রোদগাথা, মণিমালা মেঘ
বুকে বেঁধা কাচ-কণা কিছু -- রক্তবিন্দু তারারাজি,
বিষাদপ্রতিমা, তোর কত ভুলচুক ---জানা বা অজানা
স্মৃতির শিলাস্তূপ দুহাতে সরিয়ে কত দূরে আর?
কত দূরে যাওয়া যায়?
একা একা ভুল গলি ভুল বাঁক নিয়ে
দক্ষিণী কর্ণাটে কিংবা মালবরাজ্যে তুই চলে যাস যদি?
মঞ্জুলা, চুলে ফুল দিবি, ঘাঘরাতে বেনারসী আলো...
অমল কমল খুঁজে মন যদি উদাসীন হয়,
'ফিরে এসে কড়া নেড়ে দেখি' এমনটা সাধ হয় যদি,
বন্ধ টিকিটঘর, খাঁ খাঁ রেলপথ,
ঝরে গেছে সব পাতা, পিপুল অশথ বট,
ছায়াহীন কোথায় দাঁড়াবি?
এত কি সহজ মেয়ে? এত সুমধুর?
কঠিনও যে কী করে তা বলি?
তির্যক চাহনি শুধু, ছুঁড়ে দেওয়া দু-চারটে বাণী
সঞ্চারী থেকে এসে বিনা বাক্যব্যয়ে
সহজিয়া তানকারি নখাগ্রে ছুঁয়ে দেয় শেষের আভোগ।
ততদিন ধুলো ঘাঁটাঘাঁটি, অবেলায় স্নান-খাওয়া
আরো যা যা মন চায় করো...
ঝুলন সাজাও ফুলবনে, চাঁদমালা গেঁথে পরো
সিঁথিমূলে, বাজুতে, গলায়...
বোকা মেয়ে, সবাই কুমার নয় --
বাঁচাবে যে তোকে দূরদ্বীপে অজানিত ভেসে যাওয়া থেকে...
সবাই প্রণব নয় -- পথভোলা পাগলিকে আশ্রয় দেবে...
শেষপাতা ওড়াবার আগে দেখে নিও আরো একবার
পিছুটান কতটা মায়াবী, জরুরী কতটা--
শেষ হল আরব্য রজনী,
বাঁধাপথে দিন গোনা শুরু হোক তবে...
দ্বিপ্রহরে সেতুহীন নদী, মাঝরাতে বিধ্বংসী ঝড়
যেদিন আসবে একসাথে,
তার ঠিক একদিন আগে, জানাবো তোমাকে
No comments:
Post a Comment